Skip to main content

Bengali language, Bengali literature, Bangla sahityer itihas

 Bengali literature:~


১. বাণভট্ট কার ছদ্মনাম? 

উঃ বাণভট্ট নীহার রঞ্জন গুপ্তের ছদ্মনাম। 

২. হুতম প্যাঁচা কার ছদ্মনাম? 

উঃ কালীপ্রসন্ন সিংহের ছদ্মনাম হুতম প্যাঁচা।

৩. চর্যাপদ প্রশ্ন উত্তর 

উঃ চর্যাপদের প্রশ্ন উত্তর আগে আমরা একটি পোস্ট এ আলোচনা করেছি সেই প্রশ্ন উত্তর গুলো দেখবার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

৪. অন্নদামঙ্গল প্রশ্ন উত্তর 

উঃ অন্নদামঙ্গলের প্রশ্ন উত্তর আগে আমরা একটি পোস্ট এ আলোচনা করেছি সেই, প্রশ্ন উত্তর গুলো দেখবার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

৫. মনসামঙ্গল কাব্যের আদি কবি কে? 

উঃ মনসামঙ্গল কাব্যের আদি কবি হলেন কানা হরি দত্ত। 

৬. আরাকান রাজসভার কবি কে? 

উঃ আরাকান রাজসভার প্রধান দুই জন কবি হলেন - দৌলত কাজী ও সৈয়দ আলাওল। 

৭. ধর্মমঙ্গল কাব্যের আদি কবি কে? 

উঃ ধর্মমঙ্গল কাব্যের আদি কবি হলেন ময়ূরভট্ট।

৮. Shri krishna kirtan kabya in Bengali 

উঃ আগে আমরা একটি পোস্ট এ বাংলা ভাষায় শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য আলোচনা করেছি, সেই পোস্ট টি দেখবার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

৯. 'চৈতন্য চরিতামৃত' কার লেখা? 

উঃ 'চৈতন্য চরিতামৃত' কৃষ্ণদাস কবিরাজের লেখা। 

১০. চৈতন্যমঙ্গল। 

উঃ চৈতন্যমঙ্গল হল একটি কাব্যশ্রেনী।এই কাব্যটি রচিত শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর জীবন ও আদর্শকে ঘিরে। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর জীবন ও লীলা বিষয়ক এই কাব্য গুলি মধ্যযুগীয় বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যের জীবন ও লীলা বিষয়কে কেন্দ্র করে 'চৈতন্যমঙ্গল' নামে কাব্য রচনা করেছেন দুই জন কবি - লোচনদাস ও জয়ানন্দ।

লোচনদাসের 'শ্রীচৈতন্যমঙ্গল':

মধ্যযুগে একটি 'চৈতন্যমঙ্গল' কাব্যের রচয়িতা হলেন লোচনদাস ঠাকুর। তিনি জন্মগ্রহণ করেন বর্ধমানের কোগ্রামে। কবির পিতা হলেন কমলাকর দাস ও মাতা হলেন সদানন্দী। কবির গুরু ছিলেন শ্রীখন্ডের নরহরি সরকার ঠাকুর। তিনি ছিলেন লোচনদাসের 'প্রেমভক্তিদাতা' গুরু।

লোচনদাসের কাব্য রচনাকাল নিয়ে মত পার্থক্য থাকলেও কব্যটির রচনাকাল সম্বন্ধে ড. বিমান বিহারী মজুমদারের বিচার গ্রহণযোগ্য। তাঁর বক্তব্য অনুসারে - "১৫৭৬ খ্রীস্টাব্দে যখন 'গৌরগনোদ্দেশ দীপিকা' লিখিত হয়, তখন তাহার দশ-পনেরো বৎসর পূর্বে 'শ্রীচৈতন্যমঙ্গলের' রচনাকাল অনুমান করাই অধিকতর যুক্তি সঙ্গত। ১৫৫০-৬৬ খ্রীস্টাব্দের মধ্যে কোন সময়ে 'শ্রীচৈতন্যমঙ্গল' রচিত হইয়াছিল বলিয়া আমি বিবেচনা করি।" (শ্রীচৈতন্যচরিতের উপাদান)

লোচনদাসের 'শ্রীচৈতন্যমঙ্গল' কাব্যটির ছত্র সংখ্যা প্রায় ১১০০০। কাব্যটি চারটি খন্ডে বিভক্ত। খন্ড গুলি হল- সূত্র, আদি, মধ্য ও শেষ খন্ড। সূত্র খন্ডে রয়েছে ১৮০০ টি ছত্র, আদি খন্ডে রয়েছে ৩৩০০ টি, মধ্য খন্ডে রয়েছে ৪৩০০ টি এবং শেষ খন্ডে রয়েছে ১৬০০ টি ছত্র।

সুত্র খন্ডের বিষয় নারদ ও উদ্ধবের সংবাদে শ্রীচৈতন্য ও শ্রী নিত্যানন্দের অবতারারম্ভ। আদি খন্ডে মহাপ্রভুর আবির্ভাব থেকে গয়াগমন পর্যন্ত লীলাবর্ণন। মধ্যখন্ড শেষ হয়েছে নীলাচলে সার্বভৌমের প্রতি মহাপ্রভুর অনুগ্রহে। শেষ খন্ডে মহাপ্রভুর দক্ষিণ ও উত্তর-পশ্চিম ভারতে ভ্রমণের বর্ণনা, বৃন্দাবন থেকে গৌর দেশ হয়ে নীলাচলে প্রত্যাবর্তন,প্রতাপরুদ্রের প্রতি প্রভুর অনুগ্রহ, দরিদ্র ব্রাহ্মণ ও বিভীষণের কাহিনি। সবশেষে মহাপ্রভুর তিরোধান বর্ণন।

জয়ানন্দের 'চৈতন্যমঙ্গল':

জয়ানন্দও কাব্য রচনা করেছিলেন জয়ানন্দের এই কাব্যটি গেয় ও আবৃত্তিযোগ্য কাব্য। কবি জয়ানন্দ ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর নিবাস ছিল বর্ধমানের আমাইপুরা গ্রামে। জয়ানন্দের পিতা সুবুদ্ধি মিশ্র ছিলেন চৈতন্য ভক্ত। চৈতন্য দেব পুরী থেকে বাংলায় ফিরবার সময় কয়েকদিন সুবুদ্ধি মিশ্রের বাড়িতে ছিলেন। তখন জয়ানন্দ শিশুমাত্র। শিশু জয়ানন্দের নাম ছিল 'গুইয়া'। চৈতন্য দেব শিশু জয়ানন্দের এই কুৎসিত নাম পাল্টে রাখেন 'জয়ানন্দ'। পরে কবি এই নামেই পরিচিত হয়েছেন।

বৃন্দাবনদাসের 'চৈতন্যভাগবত' রচনার কিছুকাল পরে জয়ানন্দ তাঁর 'চৈতন্যমঙ্গল' কাব্য রচনা সমাপ্ত করেন।ড. অসিত কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে- "১৫৬০ খ্রীস্টাব্দের দিকে প্রায় সাতচল্লিশ বৎসর বয়সে জয়ানন্দ 'চৈতন্যমঙ্গল' রচনা করিয়া থাকিবেন।(বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত, দ্বিতীয় খন্ড, পৃষ্ঠা -৩৯৮)

জয়ানন্দের কাব্যটির ছত্র সংখ্যা প্রায় সাড়ে তেরো হাজার নয়টি খন্ডে গানের রীতিতে এই কাব্যটি রচনা করেছিলেন তিনি। এই কাব্যের রচনা রীতি অনেকটা মঙ্গল কাব্যের মতো। আদি খন্ডে কাব্যের পৌরাণিক ভূমিকা। নদীয়া খন্ডে মহাপ্রভুর জন্ম থেকে জগাই মধাই উদ্ধার লীলা। বৈরাগ্য খন্ডে তাঁর সন্যাস গ্রহনের ইচ্ছা প্রকাশ পর্যন্ত। সন্ন্যাস খন্ডে শ্রী চৈতন্যের সন্ন্যাস গ্রহণ ও শান্তিপুরে অদ্বৈতগৃহে গমন। উৎকল খন্ডে মহাপ্রভুর নীলাচলে আগমন। প্রকাশ খন্ডে নীলাচল মাহাত্ম্য ও চৈতন্যের নীলাচলে স্থিতি। তীর্থ খন্ডে চৈতন্যের বৃন্দাবন-মথুরা-দক্ষিণ ভারতে তীর্থ ভ্রমণ। বিজয় খন্ডে মহাপ্রভুর গৌড়দেশে আগমন, নিত্যানন্দ প্রভুর নীলাচল-পরিত্যাগ ও গৌড়ে স্থিতি। উত্তর খন্ডে গ্রন্থের 'অনুবাদ' বা বিষয়সূচী, মহাপ্রভুর তিরোভাব ও ভক্তদের শোক, নিত্যানন্দ ও অদ্বৈতের তিরোভাবের উল্লেখ। 

Comments

Popular posts from this blog

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য | sri krishna kirtan | শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য প্রশ্ন উত্তর |বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস | wbssc

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য | sri krishna kirtan | শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য প্রশ্ন উত্তর |বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস | wbssc      শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য 1. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যটি কে কবে আবিষ্কার করেন ? উঃ বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে। 2. কাব্যটি কোথা থেকে আবিস্কার করা হয় ? উঃ বাঁকুড়া জেলার কাঁকিল্যা গ্রামে শ্রীনিবাস আচার্যের বংশধর দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের গোয়াল ঘরের মাচা থেকে । 3. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যটি কে কখন লিখেছেন? উঃ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যটি বড়ু চণ্ডীদাস চতুর্দশ শতকের প্রথমার্ধে লিখেছেন । 4. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যটি কোথা থেকে কত সালে প্রকাশিত হয় ?  উঃ ১৩১৬ বঙ্গাব্দে (১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে) বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে প্রকাশিত হয় । 5. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যটির প্রকৃত নাম কী ছিল ? উঃ শ্রীকৃষ্ণ সন্দর্ভ । 6. বড়ু চণ্ডীদাসের কাব্যে কিসের কিসের প্রভাব আছে? উঃ ভাগবত,পুরাণ ও জয়দেবের গীতগোবিন্দের । 7. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের কয়টি খন্ড রয়েছে? উঃ ১৩ টি । 8. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের খন্ড গুলির নাম উল্লেখ করুন? উঃ জন্ম খন্ড , তাম্বুল খন্ড , দান খন্ড, নৌকা খন্...

তিন পাহাড়ের কোলে শক্তি চট্টোপাধ্যায় | Tin paharer kole

তিন পাহাড়ের কোলে শক্তি চট্টোপাধ্যায় | Tin paharer kole  কবি পরিচিতি আধুনিক বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়। তাঁর জন্ম 25 নভেম্বর 1933 সালে কোলকাতার জয়নগরে ও তাঁর মৃত্যু 23 মার্চ 1995 সালে। তাঁর কবিতা চর্চার সূত্রপাত ছোটোবেলা থেকেই। কিন্তু আধুনিক কবি হিসেবে বাংলা সাহিত্য জগতে তাঁর আবির্ভাব বুদ্ধদেব বসু সম্পাদিত 'কবিতা' পত্রিকায়। কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ “হে প্রেম হে নৈশব্দ” (১৯৬১)। তাঁর প্রথম মুদ্রিত কবিতা হল 'যম'। কবির ছদ্মনাম হল 'রূপচাঁদ পক্ষী'। [ আমাদের ইউটিউব চ্যানেল 👉 Nityananda academy ] কবির কাব্যগ্রন্থ:  হে প্রেম হে নৈঃশব্দ (1960),  ধর্মে আছো জিরাফেও আছো (1965) হেমন্তের অরণ্যে আমি পোস্টম্যান (1968) পাহাড় কাঁথা মাটির বাড়ি (1971) প্রভু নষ্ট হয়ে যাই (1972) যেতে পারি কিন্তু কেন যাব (1982) বিষয়বস্তু :  আধুনিক কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের একটি অনবদ্য কবিতা তিন পাহাড়ের কোলে'। এই কবিতায় কবি কোলাহল মুখর কোনো পরিবেশ থেকে রাত্রের অন্ধকারে জনমানবহীন কোনো এক স্টেশনে নেমে অবাক হয়ে যান। প্রকৃতির অঙ্গনে আকাশভরা তারা দেখে কবি মুগ্ধ হয়ে যান।...

বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস | কাশীরাম দাস প্রশ্ন উত্তর

  বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস   Q.1 অন্নদামঙ্গল কার লেখা?  Or অন্নদামঙ্গল কাব্যের রচয়িতা কে? উঃ ভারতচন্দ্র রায়। Q.2 ভারতচন্দ্রকে রায়গুণাকর উপাধি কে প্রদান করেন? উঃ রাজা কৃষ্ণচন্দ্র। Q.3 ভারতচন্দ্র কোন কাব্য ধারার শ্রেষ্ঠ কবি?  উঃ ভারতচন্দ্র মধ্যযুগীয় মঙ্গলকাব্য ধারার শ্রেষ্ঠ কবি।  Q.4 কঙ্কাবতী উপন্যাস কার লেখা?  উঃ কঙ্কাবতী উপন্যাস ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায় এর লেখা।  Q.5 কঙ্কাবতী কাব্যটি কার লেখা?  উঃ কঙ্কাবতী কাব্যটি বুদ্ধদেব বসুর লেখা।  Q.6 কাফি খাঁ কার ছদ্মনাম?  উঃ কাফি খাঁ প্রফুল্ল চন্দ্র লাহিড়ীর ছদ্মনাম।  Q.7 বিনয় মুখোপাধ্যায়ের ছদ্মনাম কি?  উঃ বিনয় মুখোপাধ্যায়ের ছদ্মনাম হলো যাযাবর। Q.8 সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ছদ্মনাম কি?  উঃ সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ছদ্মনাম হলো সুবচনী।  Q.9 নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ছদ্মনাম কি?  উঃ নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ছদ্মনাম হলো সুনন্দ। Q.10 সত্যপীর কার ছদ্মনাম? উঃ সত্যপীর সৈয়দ মুজতবা আলীর ছদ্মনাম।  Q.11 নীহারিকা দেবী কার ছদ্মনাম?  উঃ নীহারিকা দেবী অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের ছদ্মনাম।...