Skip to main content

নাথ সাহিত্য | Nath sahitya | bangla sahityer itihas | wbssc bengali | wbslst Bengali |

 নাথ সাহিত্য

মানব দেহকে মায়া বলে পরিত্যাগ না করে যোগ
সাধনার দ্বারা মোক্ষ প্রাপ্তির আকাঙ্খায় একদল
যোগী সম্প্রদায় যে সাধন পথকে গ্রহণ করেছিলেন
তা-ই নাথ ধর্মপথ নামে পরিচিত,আর সেই সাধনার
কথা সাহিত্যের যে ধারায় লিপিবদ্ধ হয়েছে তা-ই নাথ সাহিত্য। প্রাচীন কাল থেকে বাংলা তথা ভারতের
বিভিন্ন জায়গায় এই সাধনা প্রচলিত লোককথা,ছড়া,
পাঁচালির মাধ্যমে তা দীর্ঘদিন ধরে অনুশীলিত হচ্ছিল,
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এগুলি নাথ গীতিকা নামে
পরিচিত ।
1. গোরক্ষ পন্থী নামে কারা পরিচিত ?
উঃ নাথ সম্প্রদায়ের প্রধান আচার্য গুরু গোরক্ষ
নাথের শিষ্যরা গোরক্ষ পন্থী নামে পরিচিত ।
2. কোন সময়ে এবং কার নেতৃত্বে নাথ যোগী ধর্ম
ভারতবর্ষে সর্বত্র প্রচার লাভ করে?
উঃ খ্রিষ্টীয় নবম শতাব্দীতে , গোরক্ষ নাথের নেতৃত্বে।
3. বাংলার নাথ সাহিত্যের কাহিনী কয়টি ও কী কী ?
উঃ দুইটি- (ক) গোরক্ষ নাথ কাহিনী
               (খ) ময়নামতী গোপীচন্দ্রের কাহিনী
4. গুরু মীননাথ কে আত্ম বিস্মৃতি ও অধঃপতন থেকে
কে উদ্ধার করেন ?
উঃ গুরু মীননাথের শিষ্য গোরক্ষক নাথ ।
[ রবীন্দ্রনাথের উপন্যাস থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর পড়ুন ]
5. মীনচেতন কী ?
উঃ গুরু মীননাথের বিস্মৃত চেতনার পুনঃ জাগরন নিয়ে নাথ ধর্মের যে একটি আখ্যান কাব্য রচিত হয়েছিল
তা-ই মীনচেতন নামে পরিচিত ।
6. গোরক্ষবিজয় কাব্যের মুল বিষয় কী?
উঃ শিষ্য গোরক্ষনাথ পথ ভ্রষ্ট আত্মভ্রষ্ট গুরু মীন-
নাথকে কদলীরাজ্যের নারীদের মোহজাল থেকে
উদ্ধার এই কাব্যের মুল বিষয় ।
7. নাথ সাহিত্য অনুসারে শিব, মীননাথ, গোরক্ষনাথ
ও গৌরীর জন্ম কীভাবে হয়েছিল ?
উঃ ধর্ম ঠাকুর নিরঞ্জনের মুখ থেকে যোগী রুপে শিব,
নাভি থেকে মীননাথ, জটা থেকে গোরক্ষ নাথ ও সর্ব
শরীর থেকে গৌরী জন্ম গ্রহণ করলেন ।
8. "এক কালে হউক বিস্মরণ" এই কথাটি কে কাকে
বলেছিলেন ?
উঃ মহাদেব মীননাথকে বলেছিলেন ।
9. গোরক্ষবিজয় কাব্যটির রচয়িতা কে?
উঃ গোরক্ষবিজয় কাব্যটির রচয়িতা সম্পর্কে ভিন্ন
মত প্রচলিত। ডঃ দীনেশচন্দ্র সেনের মতে কাব্যটি লিখেছেন 4 জন - কবীন্দ্র দাস , ফয়জুল্লা, ভীমদাস
ও শ্যাম দাস । অনেকেই এই কাব্যের কবি ফয়জুল্লাকেই বলেছেন।
10. মীনচেতন সম্পর্কে কোন কোন কাব্য কারা প্রকাশ করেন? 
উঃ শ্যামদাস সেনের লেখা 'মীনচেতন' এর সম্পাদনা
 করেন নলিনীকান্ত ভট্টশালী ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে ।
ফয়জুল্লার 'গোরক্ষবিজয়' সম্পাদনা করেন মুন্সি আবদুল করিম ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে ।
ভীমসেনের 'গোরখবিজয়' সম্পাদনা করেন পঞ্চানন
মন্ডল ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে।
11. 'গোপীচন্দ্রের গান' কাদের সম্পাদনায় কখন
প্রকাশিত হয়?
উঃ ভবানী দাসের লেখা 'গোপীচন্দ্রের পাঁচালী'
সম্পাদনা করে প্রকাশ করেন বিশ্বেশ্বর চট্টোপাধ্যায়
দীনেশচন্দ্র সেন ও বসন্ত রঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ ১৯২৪
খ্রিস্টাব্দে।
12. নাথ ধর্মে কতজন গুরুর কথা জানা যায় ?
উঃ নাথ ধর্মে ন-জন গুরুর কথা জানা যায় ।
13. মীননাথের অপর নাম কী?
উঃ মৎসেন্দ্রনাথ ।
14. মৎসেন্দ্রনাথের দুইজন শিষ্যের নাম কী?
উঃ গোরক্ষনাথ, চৌরঙ্গীনাথ৷
15. গোরক্ষনাথের কয়জন শিষ্য ছিল ? 
উঃ গৈনীনাথ , চপটিনাথ।
16. নলিনীকান্ত সম্পাদিত 'মীনচেতন' কাব্যে শ্যাম-
দাসের ভনিতা কত বার ব্যবহৃত হয়েছে ? 
উঃ দুই বার।
17. সাহিত্য বিষারদ মুন্সি আবদুল করিম কয়টি পুঁথি
অবলম্বনে 'গোরক্ষবিজয়' সম্পাদনা করেন? 
উঃ আটখানি পুঁথি অবলম্বনে ।
18. রানী ময়নামতীর পুত্র কে ? 
উঃ গোপীচন্দ্র বা গোবিন্দচন্দ্র ।
19. রানী ময়নামতী কে ছিলেন ? 
উঃ ত্রিপুরার অন্তর্গত মেহারকুলের রাজা মানিক
চন্দ্রের স্ত্রী ছিলেন রানী ময়নামতী ।
20. গোপীচন্দ্রের পাঁচালীর মুল বিষয় কী?
উঃ রাজা গোপীচন্দ্রের সন্যাস গ্রহণই গোপীচন্দ্রের
পাঁচালীর মুল বিষয় । 

                                                                                                Click here to see 👉 Our YouTube Channel                                                                                             

Comments

Popular posts from this blog

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য | sri krishna kirtan | শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য প্রশ্ন উত্তর |বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস | wbssc

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য | sri krishna kirtan | শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য প্রশ্ন উত্তর |বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস | wbssc      শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য 1. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যটি কে কবে আবিষ্কার করেন ? উঃ বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে। 2. কাব্যটি কোথা থেকে আবিস্কার করা হয় ? উঃ বাঁকুড়া জেলার কাঁকিল্যা গ্রামে শ্রীনিবাস আচার্যের বংশধর দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের গোয়াল ঘরের মাচা থেকে । 3. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যটি কে কখন লিখেছেন? উঃ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যটি বড়ু চণ্ডীদাস চতুর্দশ শতকের প্রথমার্ধে লিখেছেন । 4. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যটি কোথা থেকে কত সালে প্রকাশিত হয় ?  উঃ ১৩১৬ বঙ্গাব্দে (১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে) বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে প্রকাশিত হয় । 5. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যটির প্রকৃত নাম কী ছিল ? উঃ শ্রীকৃষ্ণ সন্দর্ভ । 6. বড়ু চণ্ডীদাসের কাব্যে কিসের কিসের প্রভাব আছে? উঃ ভাগবত,পুরাণ ও জয়দেবের গীতগোবিন্দের । 7. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের কয়টি খন্ড রয়েছে? উঃ ১৩ টি । 8. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের খন্ড গুলির নাম উল্লেখ করুন? উঃ জন্ম খন্ড , তাম্বুল খন্ড , দান খন্ড, নৌকা খন্ড , ভার খন্ড , ছত্র

বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস | কাশীরাম দাস প্রশ্ন উত্তর

  বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস   Q.1 অন্নদামঙ্গল কার লেখা?  Or অন্নদামঙ্গল কাব্যের রচয়িতা কে? উঃ ভারতচন্দ্র রায়। Q.2 ভারতচন্দ্রকে রায়গুণাকর উপাধি কে প্রদান করেন? উঃ রাজা কৃষ্ণচন্দ্র। Q.3 ভারতচন্দ্র কোন কাব্য ধারার শ্রেষ্ঠ কবি?  উঃ ভারতচন্দ্র মধ্যযুগীয় মঙ্গলকাব্য ধারার শ্রেষ্ঠ কবি।  Q.4 কঙ্কাবতী উপন্যাস কার লেখা?  উঃ কঙ্কাবতী উপন্যাস ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায় এর লেখা।  Q.5 কঙ্কাবতী কাব্যটি কার লেখা?  উঃ কঙ্কাবতী কাব্যটি বুদ্ধদেব বসুর লেখা।  Q.6 কাফি খাঁ কার ছদ্মনাম?  উঃ কাফি খাঁ প্রফুল্ল চন্দ্র লাহিড়ীর ছদ্মনাম।  Q.7 বিনয় মুখোপাধ্যায়ের ছদ্মনাম কি?  উঃ বিনয় মুখোপাধ্যায়ের ছদ্মনাম হলো যাযাবর। Q.8 সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ছদ্মনাম কি?  উঃ সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ছদ্মনাম হলো সুবচনী।  Q.9 নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ছদ্মনাম কি?  উঃ নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ছদ্মনাম হলো সুনন্দ। Q.10 সত্যপীর কার ছদ্মনাম? উঃ সত্যপীর সৈয়দ মুজতবা আলীর ছদ্মনাম।  Q.11 নীহারিকা দেবী কার ছদ্মনাম?  উঃ নীহারিকা দেবী অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের ছদ্মনাম।  Q.12 নীলকন্ঠ কার ছদ্মনাম?  উঃ প্রভাত মুখোপাধ্যায়ের ছদ্মনাম নীলকন্ঠ।  Q.13 অনিলা দেবী

শাক্ত পদাবলী | বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস | wbssc |

শাক্ত পদাবলী    1. শাক্ত পদাবলী কী?  উঃ অষ্টাদশ শতাব্দীতে দেবী কালিকা বা  শ্যামার আরাধনা বিষয়ক যে সমস্ত পদ  রচিত  হয়েছিল তা-ই শাক্ত পদাবলী নামে পরিচিত। 2. শাক্ত পদাবলীকে কয়টি পর্যায়ে ভাগ করা যায়?  উঃ (ক) আগমনী (খ) বিজয়া (গ) ভক্তের  আকুতি।  3. শক্তি ধর্ম বিষয়ক প্রাচীনতম পরিচয়  কোথায় পাওয়া  যায় ?  উঃ ঋগ্বেদের দেবীশুক্তে ।  4. শাক্ত পদের আরেক নাম কী ?  উঃ 'মালসী'। এই গান গুলি মালবশ্রী রাগে গাওয়া হত তাই এরূপ নামকরন ।  5. শাক্ত পদাবলীর শ্রেষ্ঠ পদকর্তা কে?  উঃ রাম প্রসাদ সেন ।  6. রাম প্রসাদ সেনের পরিচয় দাও?  উঃ ঈশ্বর গুপ্তের তথ্য অনুসারে রাম  প্রসাদের জন্ম ১৭২০-১৭২১ খ্রিস্টাব্দ  এবং ১৭৮১ খ্রিস্টাব্দে তিনি দেহ ত্যাগ করেন। তাঁর জন্ম হালি শহরের অন্তর্গত কুমার হট্ট গ্রামে।  7. কবি রাম প্রসাদ সেনের প্রথম গান কী?  উঃ "আমায় দাও মা তবিলদারি" 8. কবি রাম প্রসাদ সেনের পিতার নাম কী? উঃ রাম রাম সেন।  9. কবি রাম প্রসাদ সেনকে কবিরঞ্জন উপাধি কে প্রদান করেন? উঃ রাজা কৃষ্ণচন্দ্র।  10. কবি রাম প্রসাদ সেন আর কোন কোন কাব্য রচনা করেন?  উঃ 'বিদ্যাসুন্দর','কালীকীর্তন','কৃষ্ণকী