Skip to main content

বাংলা SLST পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন | সাহিত্যের রূপ ও রীতি | WBSSC | Bangla sahitya

 বাংলা SLST পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন | সাহিত্যের রূপ ও রীতি | WBSSC | Bangla sahitya

bangla sahityer itihas, wbslst


১. কয়েকটি বাংলা স্যাটায়ারের উদাহরণ দিন? 

উঃ রবীন্দ্রনাথের 'হিং টিং ছট', দ্বিজেন্দ্র লালের 'নন্দলাল', ঈশ্বর গুপ্তের 'অনাচার', মোহিত লালের 'সরস-সতী'।

২. নীতি কবিতা কাকে বলে? 

উঃ যে কবিতা ধর্ম, দর্শন বা অন্য কোনো বিষয়ে উপদেশ বা কোনো তত্ত্ব প্রচারের উদ্দেশ্যে খরচ হয় তাকেই নীতি কবিতা বলে। রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'নীতি কুসুমাঞ্জলি', রবীন্দ্রনাথের 'ভক্তি ভাজন, 'জুতা আবিষ্কার' কুমুদরঞ্জন মল্লিকের শতদল ইত্যাদি। 

৩. প্যারডি কাকে বলে? 

উঃ যখন কোনো পরিচিত বা জনপ্রিয় কোনো কবিতা, নাটক, উপন্যাসের, গানের সমালোচনা করে নতুন কিছু রচনা করা হয়, তখন তাকে প্যারডি বলা হয়। বাংলার প্যারডির উদাহরণ - মোহিতলাল মজুমদারের 'আমি যদি জন্ম নিতাম ক্যাবলা কালুর কালে', সজনীকান্ত দাসের 'হে বিরাট গদি', সতীশ ঘটকের 'সোনার ঘড়ি', যতীন্দ্রনাথের 'শরতের বঙ্গভূমি'। 

৪. প্যারডি শব্দের বাংলা অর্থ কী?

উঃ প্যারডি শব্দের বাংলা অর্থ হল 'লালিকা'।

৫. লিপি কবিতা কাকে বলে? কয়েকটি লিপি কবিতার উদাহরণ দিন? 

উঃ পত্র বা লিপির আকারে যেসব কবিতা রচিত হয় তাকে লিপি কবিতা বলে। কয়েকটি লিপি কবিতা হল- মধুসূদন দত্তের 'বীরাঙ্গনা কাব্যা', রবীন্দ্রনাথের 'শিলঙের চিঠি', সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের 'পুরীর চিঠি' ইত্যাদি। 

৬. রূপক কবিতা কাকে বলে? 

উঃ যে কবিতায় বাহ্যিক রূপের আড়ালে একটি সম্পুর্ণ অন্য অর্থকে ব্যঞ্জিত করা হয়ে থাকে সেই ধরনের কবিতাকে রূপক কবিতা বলে (allegorical poems)।

৭. allegory শব্দটির উৎস কী?

উঃ ফরাসি allegorie বা লাতিন allegoria যার অর্থ হল অন্যভাবে বলা। 

৮. বাংলায় কয়েকটি রূপকের উদাহরণ দিন? 

উঃ যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের 'ভারতী', মোহিতলাল মজুমদারের 'আহ্বান', দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'স্বপ্ন প্রয়ান'।

৯. পঞ্চাঙ্ক নাটক কাকে বলে? 

উঃ যে নাটকের পাঁচটি অঙ্ক বা অধ্যায় বা পর্যায় থাকে সেটি নাটককে পঞ্চাঙ্ক নাটক বলে। 

১০. পঞ্চাঙ্ক নাটকের পাঁচটি পর্যায় কী কী?

উঃ পঞ্চাঙ্ক নাটকের পাঁচটি পর্যায় হল - সূচনা, জটিলতা, শীর্ষবিন্দু, গ্রন্থিমোচন ও সমাপ্তি। 

১১. ঐতিহাসিক নাটক কাকে বলে? 

উঃ যে নাটকের বিষয়বস্তু কোন ঐতিহাসিক ঘটনা বা ঐতিহাসিক চরিত্রকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে সেই নাটককে ঐতিহাসিক নাটক বলে। এই প্রকার নাটকে নাট্যকারের কল্পনাও মেশানো থাকে।

বাংলার কিছু ঐতিহাসিক নাটক দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের 'প্রতাপ সিংহ', নূর জাহান', 'মেবার পতন', 'সাজাহান', 'চন্দ্রগুপ্ত', 'সিংহল বিজয়', গিরিশচন্দ্র ঘোষের 'সিরাজদ্দৌলা', 'মীরকাশিম', মন্মথ রায়ের 'অশোক',। 

ইংরেজি সাহিত্যেের কিছু ঐতিহাসিক নাটক - শেক্সপীয়ারের জুলিয়াস সিজার, ক্লিওপেট্রা। 

সংস্কৃত- বিশাখ দত্তের 'মুদ্রা রাক্ষস'।

১২. নাটকের ঐক্য বলতে কী বোঝ?

উঃ নাট্যকারগন নাটকের তিনটি ঐক্য নীতি মেনে চলতেন - ক) সময়ের ঐক্য (Unity of time) খ) স্থানের ঐক্য (Unity of place) গ) ঘটনার ঐক্য (Unity of action)

১৩. নাটকের উপাদানগুলি কী কী?

উঃ নাটকের উপাদানগুলি হল- 

মূল ভাবনাঃ নাট্যকার তাঁর নাটকের মধ্য দিয়ে দর্শককে কিছু বলতে চান বা ধারণা দিতে চান, নাট্যকারের এই ধারণাটিকে অবলম্বন করে একটি নাটকের কাহিনী তৈরী করে থাকেন।

কাহিনী বা প্লটঃ প্রত্যেক নাটকে একটি সাধারণত ঘটনা বা কাহিনী থাকে এই ঘটনার মধ্যে দিয়েই নাটকের শুরু হয়, মধ্য পর্যায়ে পৌছে পরিশেষে সমাপ্তির দিকে যায়। নাটকের মূল কাহিনির পাশাপাশি একটি উপকাহিনীও থাকতে পারে।

চরিত্রঃ নাটকের ঘটনা বা কাহিনী গুলো যে ব্যক্তিবর্গ বর্ণনা করে, তারাই নাটকের চরিত্র। মূলত একটি নাটকে একজন প্রধান চরিত্র থাকে। 

সংলাপঃ নাটকের চরিত্র বা পাত্রপাত্রীগন তাদের কথোপকথন এর মাধ্যমে যা ব্যাক্ত করে থাকেন, সেটাই হল নাটকের সংলাপ। 

১৪. পৌরাণিক নাটক কাকে বলে? 

উঃ পুরাণের কাহিনী বা চরিত্র অবলম্বনে ধর্ম ও ভক্তি ভাবনা বিকশিত করে যে নাটক রচনা করা হয়, সেই নাটকগুলিকে পৌরাণিক নাটক বলে। এই নাটকগুলির মূল লক্ষ হল দেব মহিমা বা ধর্মভাব প্রকাশ। 

বাংলার কিছু পৌরাণিক নাটকগুলি হল- গিরিশচন্দ্র ঘোষের 'রাবন বধ', 'নল দময়ন্তী', 'বিল্বমঙ্গল', 'জনা', ক্ষীরোদ প্রাসাদর ভীষ্ম, নরনারায়ণ, দ্বিজেন্দ্র লালের 'পাষাণী' 'সীতা'।

১৫. ট্রাজেডি নাটক কাকে বলে? 

উঃ যে নাটকের বিষয়বস্তুতে থাকে কোনো দুঃখজনক কাহিনী বা বিয়োগান্তক কোনো ঘটনা যা দর্শক ও পাঠকের মনকে শোকায়ত করে তোলে তাকে ট্রাজেডি নাটক বলে। 

মাইকেল মধুসূদন দত্তের 'কৃষ্ণকুমারী' (১৮৬১) হচ্ছে বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ট্রাজেডি নাটক। 

Comments

Popular posts from this blog

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য | sri krishna kirtan | শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য প্রশ্ন উত্তর |বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস | wbssc

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য | sri krishna kirtan | শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য প্রশ্ন উত্তর |বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস | wbssc      শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য 1. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যটি কে কবে আবিষ্কার করেন ? উঃ বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে। 2. কাব্যটি কোথা থেকে আবিস্কার করা হয় ? উঃ বাঁকুড়া জেলার কাঁকিল্যা গ্রামে শ্রীনিবাস আচার্যের বংশধর দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের গোয়াল ঘরের মাচা থেকে । 3. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যটি কে কখন লিখেছেন? উঃ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যটি বড়ু চণ্ডীদাস চতুর্দশ শতকের প্রথমার্ধে লিখেছেন । 4. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যটি কোথা থেকে কত সালে প্রকাশিত হয় ?  উঃ ১৩১৬ বঙ্গাব্দে (১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে) বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে প্রকাশিত হয় । 5. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যটির প্রকৃত নাম কী ছিল ? উঃ শ্রীকৃষ্ণ সন্দর্ভ । 6. বড়ু চণ্ডীদাসের কাব্যে কিসের কিসের প্রভাব আছে? উঃ ভাগবত,পুরাণ ও জয়দেবের গীতগোবিন্দের । 7. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের কয়টি খন্ড রয়েছে? উঃ ১৩ টি । 8. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের খন্ড গুলির নাম উল্লেখ করুন? উঃ জন্ম খন্ড , তাম্বুল খন্ড , দান খন্ড, নৌকা খন্ড , ভার খন্ড , ছত্র

বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস | কাশীরাম দাস প্রশ্ন উত্তর

  বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস   Q.1 অন্নদামঙ্গল কার লেখা?  Or অন্নদামঙ্গল কাব্যের রচয়িতা কে? উঃ ভারতচন্দ্র রায়। Q.2 ভারতচন্দ্রকে রায়গুণাকর উপাধি কে প্রদান করেন? উঃ রাজা কৃষ্ণচন্দ্র। Q.3 ভারতচন্দ্র কোন কাব্য ধারার শ্রেষ্ঠ কবি?  উঃ ভারতচন্দ্র মধ্যযুগীয় মঙ্গলকাব্য ধারার শ্রেষ্ঠ কবি।  Q.4 কঙ্কাবতী উপন্যাস কার লেখা?  উঃ কঙ্কাবতী উপন্যাস ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায় এর লেখা।  Q.5 কঙ্কাবতী কাব্যটি কার লেখা?  উঃ কঙ্কাবতী কাব্যটি বুদ্ধদেব বসুর লেখা।  Q.6 কাফি খাঁ কার ছদ্মনাম?  উঃ কাফি খাঁ প্রফুল্ল চন্দ্র লাহিড়ীর ছদ্মনাম।  Q.7 বিনয় মুখোপাধ্যায়ের ছদ্মনাম কি?  উঃ বিনয় মুখোপাধ্যায়ের ছদ্মনাম হলো যাযাবর। Q.8 সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ছদ্মনাম কি?  উঃ সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ছদ্মনাম হলো সুবচনী।  Q.9 নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ছদ্মনাম কি?  উঃ নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ছদ্মনাম হলো সুনন্দ। Q.10 সত্যপীর কার ছদ্মনাম? উঃ সত্যপীর সৈয়দ মুজতবা আলীর ছদ্মনাম।  Q.11 নীহারিকা দেবী কার ছদ্মনাম?  উঃ নীহারিকা দেবী অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের ছদ্মনাম।  Q.12 নীলকন্ঠ কার ছদ্মনাম?  উঃ প্রভাত মুখোপাধ্যায়ের ছদ্মনাম নীলকন্ঠ।  Q.13 অনিলা দেবী

শাক্ত পদাবলী | বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস | wbssc |

শাক্ত পদাবলী    1. শাক্ত পদাবলী কী?  উঃ অষ্টাদশ শতাব্দীতে দেবী কালিকা বা  শ্যামার আরাধনা বিষয়ক যে সমস্ত পদ  রচিত  হয়েছিল তা-ই শাক্ত পদাবলী নামে পরিচিত। 2. শাক্ত পদাবলীকে কয়টি পর্যায়ে ভাগ করা যায়?  উঃ (ক) আগমনী (খ) বিজয়া (গ) ভক্তের  আকুতি।  3. শক্তি ধর্ম বিষয়ক প্রাচীনতম পরিচয়  কোথায় পাওয়া  যায় ?  উঃ ঋগ্বেদের দেবীশুক্তে ।  4. শাক্ত পদের আরেক নাম কী ?  উঃ 'মালসী'। এই গান গুলি মালবশ্রী রাগে গাওয়া হত তাই এরূপ নামকরন ।  5. শাক্ত পদাবলীর শ্রেষ্ঠ পদকর্তা কে?  উঃ রাম প্রসাদ সেন ।  6. রাম প্রসাদ সেনের পরিচয় দাও?  উঃ ঈশ্বর গুপ্তের তথ্য অনুসারে রাম  প্রসাদের জন্ম ১৭২০-১৭২১ খ্রিস্টাব্দ  এবং ১৭৮১ খ্রিস্টাব্দে তিনি দেহ ত্যাগ করেন। তাঁর জন্ম হালি শহরের অন্তর্গত কুমার হট্ট গ্রামে।  7. কবি রাম প্রসাদ সেনের প্রথম গান কী?  উঃ "আমায় দাও মা তবিলদারি" 8. কবি রাম প্রসাদ সেনের পিতার নাম কী? উঃ রাম রাম সেন।  9. কবি রাম প্রসাদ সেনকে কবিরঞ্জন উপাধি কে প্রদান করেন? উঃ রাজা কৃষ্ণচন্দ্র।  10. কবি রাম প্রসাদ সেন আর কোন কোন কাব্য রচনা করেন?  উঃ 'বিদ্যাসুন্দর','কালীকীর্তন','কৃষ্ণকী