Skip to main content

বৈষ্ণব পদাবলী | wbssc bengali | school service Commission

বৈষ্ণব পদাবলী



1. কবি বিদ্যাপতির সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও? 
উঃ কবি বিদ্যাপতি ছিলেন মিথিলা রাজ শিব 
সিংহের সভাকবি ।  কবি বিদ্যাপতির জন্ম ১৩৮০
খ্রিস্টাব্দের কাছাকাছি সময়ে এবং ১৪৬০ খ্রিস্টাব্দের 
কাছাকাছি সময়ে তাঁর মৃত্যু হয় । 
2. বিদ্যাপতির উপাধি কী ছিল?
উঃ কবিকন্ঠহার । 
3. বিদ্যাপতি কয়টি পদ রচনা করেন?
উঃ ডঃ বিমান বিহারী মজুমদারের মতে বিদ্যাপতির
অকৃত্রিম প্রায় ৮০০ টি পদ রয়েছে। এই পদ গুলির
মধ্যে ৩৮৪ টি পদে রাধা কৃষ্ণের কোনো উল্লেখ নেই 
এবং ৩৫ টি পদ হরগৌর ও গঙ্গা বিষয়ক । 
3. বিদ্যাপতির কৌলিক উপাধি কী ছিল ? 
উঃ 'ঠক্কুর' বা 'ঠাকুর'।
4. বিদ্যাপতিকে অভিনব জয়দেব কেন বলা হয়?
উঃ বিদ্যাপতির কাব্যে জয়দেবের গীতগোবিন্দের 
প্রভাব রয়েছে ।
 5. বিদ্যাপতি রচিত গ্রন্থ কী কী ? 
উঃ বিদ্যাপতি রচিত গ্রন্থ গুলি হল - ভূ পরিক্রমা, পুরুষ
পরীক্ষা, কীর্তিপতাকা, লিখনাবলী । 
6. বিদ্যাপতির শ্রেষ্ঠত্য কোন পর্যায়ের পদ রচনায়?
উঃ পূর্বরাগ । 
7. কবি বিদ্যাপতি কোন কাব্যে নিজেকে মধ্যযুগের 
'কবি সার্বভৌম' ও 'খেলন কবি' বলেছেন? 
উঃ কীর্তিলতা কাব্যে ।   
8. বিদ্যাপতি কোন ভাষায় পদ রচনা করেছেন? 
উঃ ব্রজবুলি।
ব্রজবুলি হল মৈথিলী ও বাংলা ভাষার সংমিশ্রণে তৈরি কৃত্তিম কবি ভাষা । 
9. মিথিলার কবি বিদ্যাপতি বাংলা সাহিত্যের অন্তর্ভুক্ত 
হবার কারণ কী? 
উঃ মিথিলার সঙ্গে বঙ্গদেশের সাংস্কৃতিক যোগাযোগ ছিল। ষোড়শ শতকে চৈতন্যদেব বিদ্যাপতির অপুর্ব
 সুন্দর বৈষ্ণবপদগুলি আস্বাদন করতেন, বিদ্যাপতি
চৈতন্যের প্রিয় বলে বাঙালিরও প্রিয় কবি হয়ে উঠলেন। 
10. বিদ্যাপতি রচিত পদ ও তার পর্যায় -
  • নহাই উঠলো তীরে রাই কমলমুখী - পূর্বরাগ
  • হাথক দরপন মাথক ফুল - পূর্বরাগ
  • সখী হে আজ জায়ব মোয়ী - অভিসার 
  • অব মথুরাপুর মাধব গেল - মাথুর
  • এ সখী হামারি দুখের নাহি ওর - মাথুর
  • পিয়া যব আয়ব এ মঝু গেহে - ভাবোল্লাস
  • কি কহব রে সখি আনন্দ ওর - ভাবোল্লাস
  • মাধব বহুত মিনতি করি তোয় - প্রার্থনা                                                             

Comments

Popular posts from this blog

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য | sri krishna kirtan | শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য প্রশ্ন উত্তর |বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস | wbssc

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য | sri krishna kirtan | শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য প্রশ্ন উত্তর |বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস | wbssc      শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য 1. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যটি কে কবে আবিষ্কার করেন ? উঃ বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে। 2. কাব্যটি কোথা থেকে আবিস্কার করা হয় ? উঃ বাঁকুড়া জেলার কাঁকিল্যা গ্রামে শ্রীনিবাস আচার্যের বংশধর দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের গোয়াল ঘরের মাচা থেকে । 3. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যটি কে কখন লিখেছেন? উঃ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যটি বড়ু চণ্ডীদাস চতুর্দশ শতকের প্রথমার্ধে লিখেছেন । 4. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যটি কোথা থেকে কত সালে প্রকাশিত হয় ?  উঃ ১৩১৬ বঙ্গাব্দে (১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে) বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে প্রকাশিত হয় । 5. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যটির প্রকৃত নাম কী ছিল ? উঃ শ্রীকৃষ্ণ সন্দর্ভ । 6. বড়ু চণ্ডীদাসের কাব্যে কিসের কিসের প্রভাব আছে? উঃ ভাগবত,পুরাণ ও জয়দেবের গীতগোবিন্দের । 7. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের কয়টি খন্ড রয়েছে? উঃ ১৩ টি । 8. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের খন্ড গুলির নাম উল্লেখ করুন? উঃ জন্ম খন্ড , তাম্বুল খন্ড , দান খন্ড, নৌকা খন্ড , ভার খন্ড , ছত্র

বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস | কাশীরাম দাস প্রশ্ন উত্তর

  বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস   Q.1 অন্নদামঙ্গল কার লেখা?  Or অন্নদামঙ্গল কাব্যের রচয়িতা কে? উঃ ভারতচন্দ্র রায়। Q.2 ভারতচন্দ্রকে রায়গুণাকর উপাধি কে প্রদান করেন? উঃ রাজা কৃষ্ণচন্দ্র। Q.3 ভারতচন্দ্র কোন কাব্য ধারার শ্রেষ্ঠ কবি?  উঃ ভারতচন্দ্র মধ্যযুগীয় মঙ্গলকাব্য ধারার শ্রেষ্ঠ কবি।  Q.4 কঙ্কাবতী উপন্যাস কার লেখা?  উঃ কঙ্কাবতী উপন্যাস ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায় এর লেখা।  Q.5 কঙ্কাবতী কাব্যটি কার লেখা?  উঃ কঙ্কাবতী কাব্যটি বুদ্ধদেব বসুর লেখা।  Q.6 কাফি খাঁ কার ছদ্মনাম?  উঃ কাফি খাঁ প্রফুল্ল চন্দ্র লাহিড়ীর ছদ্মনাম।  Q.7 বিনয় মুখোপাধ্যায়ের ছদ্মনাম কি?  উঃ বিনয় মুখোপাধ্যায়ের ছদ্মনাম হলো যাযাবর। Q.8 সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ছদ্মনাম কি?  উঃ সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ছদ্মনাম হলো সুবচনী।  Q.9 নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ছদ্মনাম কি?  উঃ নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ছদ্মনাম হলো সুনন্দ। Q.10 সত্যপীর কার ছদ্মনাম? উঃ সত্যপীর সৈয়দ মুজতবা আলীর ছদ্মনাম।  Q.11 নীহারিকা দেবী কার ছদ্মনাম?  উঃ নীহারিকা দেবী অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের ছদ্মনাম।  Q.12 নীলকন্ঠ কার ছদ্মনাম?  উঃ প্রভাত মুখোপাধ্যায়ের ছদ্মনাম নীলকন্ঠ।  Q.13 অনিলা দেবী

শাক্ত পদাবলী | বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস | wbssc |

শাক্ত পদাবলী    1. শাক্ত পদাবলী কী?  উঃ অষ্টাদশ শতাব্দীতে দেবী কালিকা বা  শ্যামার আরাধনা বিষয়ক যে সমস্ত পদ  রচিত  হয়েছিল তা-ই শাক্ত পদাবলী নামে পরিচিত। 2. শাক্ত পদাবলীকে কয়টি পর্যায়ে ভাগ করা যায়?  উঃ (ক) আগমনী (খ) বিজয়া (গ) ভক্তের  আকুতি।  3. শক্তি ধর্ম বিষয়ক প্রাচীনতম পরিচয়  কোথায় পাওয়া  যায় ?  উঃ ঋগ্বেদের দেবীশুক্তে ।  4. শাক্ত পদের আরেক নাম কী ?  উঃ 'মালসী'। এই গান গুলি মালবশ্রী রাগে গাওয়া হত তাই এরূপ নামকরন ।  5. শাক্ত পদাবলীর শ্রেষ্ঠ পদকর্তা কে?  উঃ রাম প্রসাদ সেন ।  6. রাম প্রসাদ সেনের পরিচয় দাও?  উঃ ঈশ্বর গুপ্তের তথ্য অনুসারে রাম  প্রসাদের জন্ম ১৭২০-১৭২১ খ্রিস্টাব্দ  এবং ১৭৮১ খ্রিস্টাব্দে তিনি দেহ ত্যাগ করেন। তাঁর জন্ম হালি শহরের অন্তর্গত কুমার হট্ট গ্রামে।  7. কবি রাম প্রসাদ সেনের প্রথম গান কী?  উঃ "আমায় দাও মা তবিলদারি" 8. কবি রাম প্রসাদ সেনের পিতার নাম কী? উঃ রাম রাম সেন।  9. কবি রাম প্রসাদ সেনকে কবিরঞ্জন উপাধি কে প্রদান করেন? উঃ রাজা কৃষ্ণচন্দ্র।  10. কবি রাম প্রসাদ সেন আর কোন কোন কাব্য রচনা করেন?  উঃ 'বিদ্যাসুন্দর','কালীকীর্তন','কৃষ্ণকী